কুমারখালী প্রতিনিধি এম এ শাহিন হোসেন:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাপড়া ইউনিয়নের বহলা গবিন্দপুর গ্রামের মৃত কুড়ান শেখের ছেলে ফিরোজ শেখের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ড ঘটে।
এতে ফিরোজ শেখের স্ত্রী ও অসহায় নারী আছমা খাতুনের একটি টিনসেটের চারচালা ঘর, ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণ, রূপ্য, আসবাবপত্রসহ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে অন্যান্য সহযোগীতার আশ্বাস দেন ইউএনও।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর পূর্বে একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় বহলা গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কুড়ান শেখের ছেলে ফিরোজ শেখের। এরপর থেকেই ফিরোজ শেখের স্ত্রী আছমা খাতুনের তাঁর এক সন্তান রাজিব (১৪) কে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন। নিজের সামান্য জমি, বাড়িতে গরু পালন ও ছেলের দিনমজুরের টাকায় চলে তাঁর সংসার।
কোনমতে খেয়ে না খেয়ে কিছু স্বর্ণ, রূপ্য, নগদ টাকা ও একটি টিনের ঘর করেছিলেন তিনি।কিন্তুু আজ দুপুরে হঠাৎ তাঁর বসতবাড়িতে আগুন দেখা যায়। টের পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন এবং কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
এরপর প্রতিবেশীদের প্রায় আধাঁঘণ্টা চেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে আছমার বসতঘরটি, ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণ, রূপ্য ও সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ আছমা খাতুন বলেন, স্বামী জেলে যাওয়ার পর এক সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টের জীবন আমার। নিজের সীমিত জমিতে চাষাবাদ, বাড়িতে গরু পালন ও ছেলের জন বেঁচা টাকায় আমার সংসার। খেয়ে না খেয়ে কিছু সম্পদ করেছিলাম। আজ চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই গেছে।