মোঃরমজান আলী, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড দুধসরা গ্রামের মৃত.মতিয়ার রহমান এর সাত সন্তানের মধ্যে ফাহিমা খাতুন বড়।বাবা মায়ের সংসারে অভাব অনটন থাকায় লেখাপড়া করতে পারিনি ফাহিমা খাতুন।মায়ের সঙ্গে বাসা বাড়ীর কাজ করতেন,শুধু তাই নয় অন্যের বাসায় কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করে বাবার সংসার চালাতে সহযোগিতা করতেন।
ফাহিমা খাতুন এর বিবাহ হয় মহেশপুর উপজেলা পুরন্দপুর গ্রামে আব্দুল মান্নান এর সঙ্গে। স্বামীর সংসারে সুখেই জীবন যাপন করছিলেন।মোছাঃ ফাহিমা খাতুন এর গর্ভে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান।দির্ঘ ১০ বছর স্বামীর সংসার করার পর ভাগ্যের নির্মম পরিহাস স্বামী আব্দুল মান্নান এর মৃত্যু হয়।শুশুর বাড়ি থেকে ফিরে আশে বাবার বাড়ি দুধসরা গ্রামে।
শুরু হয় জীবন যুদ্ধ সত উপার্জন করে জীবন বাচাঁতে ও সন্তান কে সূ-শিক্ষায় শিক্ষিত ও ভাল মানুষের মত মানুষ করার জন্য কাজ করতে থাকে অন্যের বাসা বাড়ীতে,কখনো অন্যের খেতে কখনো কোন প্রাঃ হাসপাতালে। এক দিন ছেলে বড় হবে মায়ের আশা পুরণ করবে।জানিনা কোন অপরাধে হঠাৎ একদিন ফাহিমা খাতুন এর দুটি চোখের দৃষ্টি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কেড়ে নিলেন।নিভে গেল ফাহিমা খাতুন এর সকল আশা ও স্বপ্ন।
বর্তমান ফাহিমা খাতুন এক জন ভিক্ষুক, ভিক্ষা করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। দুটি-চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশায় বিভিন্ন স্থানে চোখের ডাক্তার দেখিয়ে থাকেন।
কিন্তুু কোন লাভ হলোনা,অর্থের অভাবে দুটি চোখের চিকিৎসা করাতে পারিনি ফাহিমা খাতুন।দুই চোখে এখন ইনফেকশন বেশি হয়াই জ্বালা যন্ত্রণা ক্রমেই বেড়ে চলেছে,এবং চোখ থেকে পুজ বের হতে থাকছে।শুধু তায় নয় দুটি চোখের মনির মাঝ খানে ঘা হয়ে গেছে।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,একটি সংসার আর সংসারে দুই জন নারী,ও একজন ছেলে মোঃ ইকরামুল হাসান তাই সমাজের বিত্তবান দেশ ও দেশের বাইরের মানুষের কাছে মোঃ ইকরামুল হাসান এর আবেদন, তার মায়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন সবাই।ফাহিমা খাতুন এর মেজো ভাই মোঃ রুহুল আমিন এর ০১৮৯৩-৫৮৯৮৩২ পার্সোনাল সাহায্য করতে পারেন ও ফাহিমার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।