নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন (২৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মোটরসাইকেল মেকানিক জান্নাত (৩৮) ও ২য় আসামি বিপুল (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) গাংনী ক্যাম্পের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মশাউড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জান্নাত মেহেরপুরের রামনগর গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে এবং বিপুল একই গ্রামের ছাদিমানের ছেলে।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক জানান, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চর গোয়াল গ্রামের গোরস্থানের প্রবেশ গেট ট্রাক্টরের ধাক্কায় ভেঙে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনায় রামনগর বাজারে চর গোয়াল গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে হৃদয় হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে জান্নাত ও তার সহযোগীরা।
গুরুতর আহত হৃদয়কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বামন্দি সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদয়ের মৃত্যুর পর বিক্ষুব্ধ জনতা জান্নাতের মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর থেকেই জান্নাত ও তার সহযোগীরা পলাতক ছিল।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মশাউড়া গ্রামের একটি বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা থেকে জান্নাত ও বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত জান্নাতের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলাও আদালতে চলমান রয়েছে।