আজকের মেহেরপুর ডেস্ক:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে পুত্রবধূকে একা পেয়ে শ্লীতাহানির চেষ্টার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৬৫) নামের এক শ্বশুরকে গণধােলাই দেয়া হয়েছে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা।
বুধবার দুপুরে নিজ ঘরে পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন শ্বশুর শহিদুল। পুলিশ শশুর ও পুত্রবধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। শহিদুল হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত জান মোহাম্মদ বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে ঘর পরিষ্কার করার জন্য পুত্রবধূকে ডাক দেন শ্বশুর শহিদুল । পুত্রবধূ সরল মনে ঘরে আসলেই একা পেয়ে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে শহিদুল । নিজেকে রক্ষা করার জন্য চিৎকার দেয় ওই পুত্রবধূ। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। সেই সাথে শ্বশুর শহিদুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটিদল শ্বশুর ও পুত্রবধূকে থানায় জিজ্ঞাসা করার জন্য থানা হেফাজতে নেয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ইতোপূর্বে শহিদুলের এ ধরণের আচরণের কারণে ছেলের ৩টি বউ ঘরছাড়া হয়েছে। ইতােপূর্বে স্থানীয় ভাবে সালিশ বসে জরিমানাও করে। মুচলেকা দেয়। কিন্তু পরে আবারো একই কাজে লিপ্ত হয় শহিদুল। তার বিচারের দাবী করেছেন স্থানীয়রা। সর্বশেষ পুত্রবধূর মামলায় শহিদুল এর আগে একবার কারাবাসও করেছিলেন।
এদিকে,গণধােলাই খেয়ে শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি মাঠ থেকে বাড়ি এসে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। পুত্রবধূ অন্যের প্রলোভনে পড়ে আমাকে মিথ্যা দোষ দিচ্ছে। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে শ্বশুর ও তার পুত্রবধূকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।