Home » গাংনী উপজেলায় হত্যাকাণ্ড, ২ যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলায় হত্যাকাণ্ড, ২ যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কর্তৃক xVS2UqarHx07
34 ভিউজ

গাংনী প্রতিনিধি:

 

গাংনী উপজেলায় হত্যাকাণ্ড, ২ যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

 

গাংনী পৌর যুবদলের ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলামকে তাদের দলীয় সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

 

আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে গাংনী পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিস্কারাদেশ দেন।

 

 

বহিস্কারাদেশে বলা হয়েছে, ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর যুবদলের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিউল ইসলাম বিপ্লবকে ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পদসহ দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

 

অব্যাহতি প্রদানের নোটিশ মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সভাপতি/সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সংগঠণ প্রেসক্লাবকে প্রদান করা হয়েছে।

 

 

এর আগে গাংনী পৌর যুবদলের এক নং ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবিউল ইসলাম বিপ্লব, এক নম্বর ওয়ার্ড (বাঁশবাড়িয়া) যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি-৩, মেহেরপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেফতার করেন। গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতে নিলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।

 

 

উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মঈন উদ্দীনের ছেলে এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন(৩৮) কে গলাকেটে হত্যা করে সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠের একটি গাছের নিচে ফেলে রাখে।

 

নিহত আলমগীর হোসেনের কাছে একই গ্রামের সাবেক যুবদল সভাপতি মোঃ মফিকুল ইসলামের ২ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল। প্রায় ৪ বছর আগে আলমগীর হোসেন ঘাতক মফিকুলের কাছ থেকে এই টাকা ধার নেন। নিহত আলমগীর হোসেন প্রায় দেড় বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) চলে যান। প্রায় ২ মাস পূর্বে ভিকটিম দেশে ফেরত আসেন। এই পাওনা টাকার প্রতিশোধ নিতেই মফিকুল ইসলাম তার বন্ধু যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন মিলে তাকে টাকা ধার দেওয়ার নাম করে সহড়বাড়িয়া-কামারখালি মাঠের মধ্যে নিয়ে কুপিেেয় ও জবাই করে হত্যা করে।

 

 

এঘটনায় নিহতের পিতা মইন উদ্দীন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন