নিজস্ব প্রতিবেদক:
সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইন বাংলাদেশ তরুন জলবায়ু কর্মী এবং গণমাধ্যমের সাথে একটি সংলাপের আয়োজন করে। এই সংলাপটি তরুণ জলবায়ু কর্মীদের মিডিয়ার সাথে তাদের কপ-২৯ পরবর্তী ভাবনাগুলো ভাগ করে নেয়ার সুযোগ করে দেয় । সেই সাথে তরুণরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতা এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।
এই সংলাপটি উদ্বোধন করেন সেভ দ্যা চিল্ড্রেন ইন বাংলাদেশ এর অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন, কমিউনিকেশন্স এবং মিডিয়া বিভাগের পরিচালক জিনাত আরা আফরোজ।
তিনি বলেন, “আপনারা তরুন জলবায়ু কর্মীরা সবাই কমিউনিটি থেকে এসেছেন আপনারা সব থেকে ভালো বোঝেন কমিউনিটির চাহিদা সম্পর্কে যে কারনে বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানে আপনারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ‘জেনারেশন হোপ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আপনাদের নেতৃত্বে, আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানের এই লড়াইয়ে। শিশু ও তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে আমরা একসাথে কাজ করতে চাই। এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাদের অনুরোধ করতে চাই তরুণ জলবায়ু কর্মীদের কন্ঠস্বর বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
এই সংলাপে আরও অংশগ্রহণ করেন, সেভ দ্য চিল্ড্রেন-এর হিউম্যানিটারিয়ান সেক্টরের পরিচালক মোঃ মোস্তাক হোসেন।
ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমানের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কপ২৯-এ অংশগ্রহণকারী জলবায়ু কর্মীদের অভিজ্ঞতা এবং সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।এই প্যানেলে আরও অংশগ্রহণ করেন জিমরান মোহাম্মদ সাইক, ফারিয়া হোসেন, এম এ তামিম, কিংবদন্তি সাবির। অ্যাকটিভিস্টরা ফোরামে তাদের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশসহ অনুরূপ দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়ন বাড়ানো ও নির্দেশিত করার প্রধান দাবিগুলো তুলে ধরেন।
সমাপনী অধিবেশনে, জলবায়ু কর্মীবৃন্দ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এবং মিডিয়ার মধ্যে একটি উন্মুক্ত আলোচনা হয়, যেখানে জলবায়ু সাংবাদিকতায় যুবদের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কার্যকর সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়