Home » ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়-বৃষ্টিতে ফসল ও বসতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়-বৃষ্টিতে ফসল ও বসতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কর্তৃক xVS2UqarHx07
158 ভিউজ

মোঃ আলমগীর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্যরাত থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ফসল ও বসতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাধাগ্রস্থ হয়েছে কৃষিকাজ। এতে শ্রমিকের জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রাণীকূলেও।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সদরের আকচা ইউনিয়নে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আগাম গমক্ষেত বাতাসের ভরে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। আলুক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। মাঠে কাজ করতে দেখা যায়নি কোন শ্রমিককে। এছাড়াও সরিষা, ভূট্টাসহ সব ফসল এ বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আরও দেখা যায়, দমকা হাওয়ায় গরীব মানুষের টিন চাতাইয়ের ঘর উড়ে গেছে। সেগুলো মেরামত করছেন মানুষজন।

কৃষক আতাউর রহমান জানান, এবারে ৩ বিঘা জমিতে আগাম গমের আবাদ করেছেন তিনি। তার গম দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কিন্তু গত মধ্যরাতের মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে তার গমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গম মাটিতে নুইয়ে পড়েছে।

আলুচাষি করিম বলেন, ৭ বিঘা মাটিতে আলু উৎপাদন করেছি। আজ আলু উত্তোলণের কথা ছিল। এখন বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকরা এসে ঘুরে চলে গেছেন।

দিনমজুর রহমত মিয়া বলেন, আলুর কাজে এসেছিলাম। দেখি আলুক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। তাই কাজ বন্ধ। তাই ফিরে যাচ্ছি।

স্থানীয় মানিকের ঘর দমকা হাওয়ায় উড়ে গেছে, তিনি ঘর মেরামত করছেন। এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এনজিও থেকে লোন নিয়ে টিনের ঘরটি বানিয়েছি। বাতাসে টিন উড়ে গেছে। সেগুলো আবার কুড়িয়ে এনে ঘর মেরামত করছি। আজ আর বাইরে কোনও কাজে যাব না।

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবু হোসেন বলেন, ‘রাতে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সাথে দমকা বাতাস। এতে আগাম গমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে এবং কৃষিকাজ ব্যহত হয়েছে। কৃষকরা এখন আলুক্ষেতে পানি না শুকানো পর্যন্ত আলু উত্তোলণ করা থেকে বিরত থাকবে, সেই সাথে সার কিটনাশক ব্যবহার বন্ধ রাখবে। এখন সবচেয়ে জরুরি জমাট পানি ক্ষেত থেকে বের করার ব্যবস্থা করা।’

উল্লেখ্য, আজ পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করে ঠাকুরগাঁওয়ে। দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় কর্মহীন হয়ে আজ ঘরবন্দি মানুষ। গবাদি পশুসহ প্রাণিকূলেও এর চরম প্রভাব পড়েছে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন