Home » পিঠা খাওয়ার প্রচলন অনেক আগে থেকে রয়েছে গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

পিঠা খাওয়ার প্রচলন অনেক আগে থেকে রয়েছে গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

কর্তৃক xVS2UqarHx07
82 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিঠা খাওয়ার প্রচলন অনেক আগে থেকে রয়েছে । তবে এ প্রচলন ইদানিং যেনাে ঝিমিয়ে গিয়েছিল। আর এ ঝিমিয়ে যাওয়া পুরােনাে ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে মেহেরপুরের গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে দিনব্যাপি পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দিনব্যাপি কলেজ চত্বরে উৎসব উপলক্ষে সাজানাে হয় ২৩টি স্টল। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের নিজের হাতে তৈরী দেশি-বিদেশী প্রায় ৫শতাধিক রকমের বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজানাে হয়। সকল শ্রেণীপেশার মানুষের জন্য এ উৎসব ছিল উন্মুক্ত। অনেক শিক্ষার্থী নিজের হাতে নতুন পিঠারও সৃষ্টি করেছিলেন।

উৎসবে আসা দর্শনার্থীর আকর্ষণ ছিল নতুন পিঠার প্রতি। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা। এছাড়াও আছে চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা ইত্যাদি। বাংলাদেশে শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে দীর্ঘ বছরের। কিন্তু এবার মেয়ে শিক্ষার্থী নতুন নতুন পিঠা তৈরী করে বেশ চমক লাগিয়েছেন। পিঠা উৎসব অংশ নেয়া শিক্ষার্থী তমালিকা জানান,জীবনে অনেক অনুষ্ঠান উপভােগ করেছি। কিন্তু পিঠা উৎসবে যে, এতাে মজা পেয়েছি। তা মুখের ভাষায় বলা সম্ভব হচ্ছেনা।

পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক ও গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন,ভাষার মাসের শুরুতে পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বাংলাভাষীদের চেতনাকে জাগ্রত করেছে। গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খােরশেদ আলী বলেন,বাঙ্গালীর হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে চাঙ্গা দেয়া ও হারিয়ে যাওয়া পিঠাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এ উৎসবের আয়ােজন করা হয়। পিঠা উৎসব আয়োজনের প্রধান অতিথি গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন,এ ধরণের উৎসবের মাধ্যমে বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। তাই প্রতি বছরই এ উৎসব করা উচিত।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন