আজকের মেহেরপুর ডেক্স:
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় শিকারিদের হাত থেকে উদ্ধার করে ৪০টি অতিথি পাখি অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুর ঘাটে কালকুচ, হাঁসপাখি, কাইনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৪০টি পাখি অবমুক্ত করা হয়।
এর আগে ভোরে উপজেলার কোদালিয়া বিলে অভিযান চালিয়ে শিকারিদের হাত থেকে ৪০টি পাখি উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়াহিদ হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মন্ডল। এ সময় পাখি ধরার ফাঁদ, সাউন্ডবক্স, ব্যাটারি, পাখির ডাক রেকর্ড করা সিডিসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
এর আগেও বিভিন্ন সময় কোদালিয়া ও মেহেরপুর বিল থেকে অন্তত ৩০টি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আটককৃতরা হলেন, মোল্লাহাট উপজেলার আড়ুয়াডিহি গ্রামের বিষ্ণনাথ বারইয়ের ছেলে রিপন বারই (৩৮) এবং একই গ্রামের বলাই রায়ের ছেলে সরত রায় (৩৬)। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রিপন বারইকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সরত রায়কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মন্ডল। অবমুক্ত পাখির মধ্যে কাইন, কালকুচ, হাঁসপাখি, বক ও ডুমখুর রয়েছে।
পাখি অবমুক্তের সময় মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, অতিথি পাখি ও বন্যপ্রাণি রক্ষায় ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাখি শিকারের কৌশল সম্পর্কে ইউএনও মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, নাইলেনের সুতোর তৈরি ফাঁদ দিয়ে তারা পাখি শিকার করে থাকে। বড়শিতে জীবিত মাছ গেঁথেও পাখি শিকার করে তারা। বর্তমানে পাখি শিকারের জন্য অভিনব কৌশল অবলম্বন আবিষ্কার করেছে শিকারিরা। ইন্টারনেট থেকে পাখির ডাক ডাউনলোড করে পেনড্রাইভে নিয়ে ভোররাত থেকে বিলের মধ্যে বাজাতে থাকে। সাউন্ডবক্সের পাশে ফাঁদ পাতা থাকে। সাউন্ডবক্সে ডাক শুনে পাখি খুজতে এসে ফাঁদে আটকে যায় অতিথি পাখি। এই কৌশলে অন্যসব পদ্ধতির থেকে বেশি পাখি পাওয়া যায়।
মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া, মেহেরপুরসহ কয়েকটি বিলে সারা বছর অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি থাকে। উপজেলার কিছু লোক এসব পাখি শিকার করে মোল্লাহাট, চিতলমারী, বাগেরহাট, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।