আজকের মেহেরপুর ডেস্কঃ
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ১৯৭১ সালের অক্টোবরের ২৮ তারিখে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তান বাহিনীর ৩০এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্টের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রেনেড ছোড়ার দায়িত্ব দেয়া হয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে। তিনি পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে হেঁটে গ্রেনেড নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। দুটি গ্রেনেড সফলভাবে মেশিনগান পোস্টে আঘাত হানে, কিন্তু তার পরপরই হামিদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। সে অবস্থাতেই তিনি মেশিনগান পোস্টে গিয়ে সেখানকার দুই জন পাকিস্তানি সৈন্যের সাথে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন। এভাবে আক্রণের মাধ্যমে হামিদুর রহমান এক সময় মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হন। এই সুযোগে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল উদ্যমে এগিয়ে যান, এবং শত্রু পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে সীমানা ফাঁড়িটি দখল করতে সমর্থ হন। কিন্তু বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান বিজয়ের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেননি, ফাঁড়ি দখলের পরে মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হামিদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করেন।
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের অনন্য ত্যাগের জন্য জাতি ও মৌলভীবাজারসহ সারাদেশবাসী তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির এই বীর সন্তানের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।উল্লেখ্য যে,বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুুর রহমানকে ত্রিপুরা রাজ্যর আমবাসায় সমাহিত করা হয়।পরে তার দেহাবশেষ আমবাসা থেকে ঢাকায় এনে সমাহিত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বিরোচিত ভূমিকা ও আত্নত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ হামিদুর রহমান সর্বোচ্ছ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা “বীরশ্রেষ্ঠ”খেতাবে ভূষিত হন।