Home » মহেশপুরে কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে,চার বছর পর অস্বীকার

মহেশপুরে কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে,চার বছর পর অস্বীকার

কর্তৃক xVS2UqarHx07
279 ভিউজ

মহেশপুর প্রতিনিধি মোঃহাসান আলী:

মহেশপুরে আরিফা খাতুন নামে এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে প্রতারণা করেছে এক প্রতারক স্বামী। এক বছর সংসার করার পর প্রতারক স্বামী বলছে সে আমার স্ত্রী নয়। নির্যাতিত ওই কলেজ ছাত্রী বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। প্রতারক উল্টো কলেজ ছাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের কাছে এসে ওই কলেজ ছাত্রী ও তার মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তাদের করুণ কাহিনী বর্ণনা করেন। নির্যাতিত কলেজ ছাত্রী জানায়, সে উপজেলার খর্দ্দখালিশপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। তার গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সোহানুর রহমান(২৫) তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২২/০৩/১৭ইং তারিখে নোটারি পাবলিকে এভিডেভিট এবং স্থানীয় কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর এক বছর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে। এক বছরের মাথায় সোহানুর রহমানের পিতা মাতা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং তাদের বিয়ে হয়নি বলে প্রচার চালায়। আরিফা বাধ্য হয়ে আশ্রয় নেয় বাবার বাড়িতে। স্বামী সোহান তার সাথে যোগাযোগ সপূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল ছেলে পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসে স্ত্রীকে ঘরে তোলার আহবান জানালে তারা সাফ জানিয়ে দেয় কোন বিয়েই হয়নি। এতে চরম বিপাকে পড়েছে আরিফা ও তার পরিবার।

এ ব্যাপারে আরিফার মা আফরোজা বেগম জানান, সোহান আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেও এখন অস্বীকার করছে। তিনি জানান, সোহান তার মেয়েকে তো নিচ্ছেই না বরং উল্টো তার মেয়েসহ তাদের নামে থানা ও আদালতে একাধি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তারা বলছে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তার মেয়েকে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেওয়া হবে। তারা এখন নিরাপত্তহীনতায় ভূগছে। নির্যাতিত অসহায় পরিবারটি প্রতারক সোহানুরের হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন