Home » মহেশপুরে চাতাল শ্রমিক শাহজাহানের ৩০বছর কেটে গেল খাল পাড়ের ঝুপড়িতে

মহেশপুরে চাতাল শ্রমিক শাহজাহানের ৩০বছর কেটে গেল খাল পাড়ের ঝুপড়িতে

কর্তৃক xVS2UqarHx07
188 ভিউজ

মোঃরমজান আলী, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে কাঠগড়া বাওড়ের খালপাড়ে চাতাল শ্রমিক মোঃশাহজাহান(৮০)খাল পাড়ের ঝুপড়িতে তালপাতা ও পলিথিনের ছাউনিতে কাটিয়ে দিলেন ৩০টি বছর।

বয়স ও দারিদ্রতার ভারে শাহজাহান এখন খুবই ক্লান্ত। জীবণের প্রাপ্তি বলতে কিছুই অবশিষ্ঠ নেই তার জীবণে। চাতালে কাজ করতে করতে পার করেছেন ৩০টি বছর। দারিদ্রতার সংসারে বড় হয়ে কখনও পরের জমিতে কামলা দেওয়া, কখনও মানুষের বাড়ীতে কাজ করে পার হয়েছে জীবণের বাকীটা সময়। বসবাস করেন খালপাড়ের ঝুপড়ি ঘরে। একমাত্র সঙ্গী স্ত্রী নুরুন্নাহার । সেও এখন নানা অসুখে প্রায় অচল। তারপরও অভাব ঘোচাতে কাজ করতে হয় পরের বাড়ীতে।

শামছুল হুদা খাঁন কলেজরে প্রভাষক মোঃআলমগীর হোসেন বলেন,পুরো নাম তার মোঃশাহজাহান হাওলাদার বর্তমান বয়স ৮০ বছর।জীবণ মানে না পাওয়া, কঠিন অর্থাভাব ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যই একমাত্র সঙ্গী তার। একমাত্র ছেলে পিতা মাতাকে ছেড়ে আলাদা বেশ ভালই আছে তাঁকে আর দেখা মতো কেউ নাই। আমি মনে করি উনি সরকারী ঘর পাবার যোগ্য।

বৃদ্ধ শাহজাহান হাওলাদার বলেন, আমার বাড়ী ছিলো সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায়। সেখান থেকে চাতাল শ্রমিক হিসাবে চলে আসেন ভাটপাড়ায়। আর ফিরে যাওয়া হয়নি। কিন্তু জীবণে কী পেলেন ও কী হারালেন এ হিসাব তিনি কষতে চান না।তিনি অভিমান করে জানান, সবাই তো ঘর পায় তবে সে ঘর আর তার কপালে নেই। কতবার চেয়ারম্যান মেম্বারদের বলেছি ঘর পাইনি।স্ত্রী নুরুন্নাহার বলেন, সামান্য বাতাসে নড়বড় করে তাদের ঘর। অন্যের দেওয়া সহযোগীতা আর বাড়ি বাড়ি কাজ করে যা পায় তা দিয়েই চলে তাদের সংসার। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের চালা গলিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি।

প্রতিবেশিরা জানান, তারা অসহায় মানুষ। আপদ বিপদে আমরা সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়।

মান্দারবাড়ীয়া ভাটপাড়া ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শাহিনুর রহমান জানান,শাহজাহান সরকারী ঘর পাবার একজন যোগ্য ব্যক্তি।

মোঃশাহজাহান হাওলাদার জানান,মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুল করিম জানিয়েছিলেন,আমরা এমন লোকদের খুজছি। ঘরের জন্য তালিকা চলছে। আমরা তাকে ঘর দেবার চেষ্টা করবো। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই‌।আমি কি একটি ঘরের মুখ কোনোদিন দেখতে পারবো না।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল ভাবে আবেদন জানায় একটি ঘরের জন্য।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন