ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মোঃ রমজান আলী:
ঝিনাইদহের মহেশপুরে উপজেলায় ঘুর্নিঝড় জাওয়াদ এর কারণে কৃষকের স্বপ্ন সব ভেঙ্গে চুরমার হয়েগেছে।টানা বৃষ্টিতে মহেশপুর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাতে বৃষ্টির পানিতে মাঠকে মাঠ ধান হাবুডুবু খাচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি ও রোববার রাত থেকে এবং সোমবার দিনভর অবিরাম চলে বৃষ্টি।তবে শনিবার থেকে মহেশপুর-সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় সারা রাত এমনকি সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত গুড়িগুড়ির পর থেকে চলছে অবিরাম বৃষ্টি।যা চলতে পারে সারা রাত এমনটাই আশা আবহাওয়া অফিসের।
এর ব্যতিক্রম হয়নি কখনো থামে আবার কখনো মুসলধারে চলে আবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটেখাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। কাজ না পেয়ে অনেককে বিভিন্ন দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে।
পৌরসভার এলাকার ,পাতিবিলা গ্ৰামের মোঃইব্রাহিম জানান হুদো মোড়ের মাঠের
আমন ক্ষেতের ধান প্রায় হাবুডুবু খাচ্ছে।অপরদিকে গাড়াবাড়িয়া মোঃ এনামুল খান জানায় তার ২বিঘা জমিতে আমন কাটা ধান টানা বৃষ্টিতে ভিজে ভেসে আছে।
মান্দরবাড়ীয়া ইউনিয়নে হুদো-শ্রীরামপুরে চাষী মোঃআনারুল জানান,তার এলাকায় বেশী চাষ হয় শীতকালীন সবজীর।এ বৃষ্টিতে এলাকায় প্রায় সকল চাষীর লাগানো আলু,পেঁয়াজ,পটল ক্ষেত তলিয়ে গিয়েছে।
এর ফলে অত্র অঞ্চলের ধান চাষিরা পড়েছে মহা বিপাকে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছে বই – খাতা হাতে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রাস্তায় বের হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। টানা বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরে একাধিক সূত্রের জানাগেছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “জাওয়াদ”র প্রভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবেই সারাদেশের ন্যয় মহেশপুর-সহ আশপাশের উপজেলায় গুড়ি গুড়িসহ অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে আশা আবহাওয়া অফিসের। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “জাওয়াদ” এর প্রভাব কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে। এমনকি সারাদেশে শীত পড়বে বেশি।