Home » মেহেরপুরে গত ১০ দিনে ২০ জনকে অদৃশ্য সাপে দংশন একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে গত ১০ দিনে ২০ জনকে অদৃশ্য সাপে দংশন একজনের মৃত্যু

কর্তৃক xVS2UqarHx07
334 ভিউজ

আজকের মেহেরপুর ডেস্ক:

মেহেরপুর -সাপে কাটা আতংকে দিন কাটছে মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রাম বাসির, গত ১৩ই মে শুক্রবার রাত ৩টায় উজলপুর কুঠিপাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া মুরসালিনকে অদৃশ্য সাপে দংশন করে, কাল বিলম্ব না করে মুরসালিন কে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন, পরে সকাল ৬টায় হাসপাতালেই মারা যায় মুরসালিন। শুরু হয় অদৃশ্য সাপে কাটার আতংক।

উজলপুর কূঠির ঘাট বাজারের স্টুডিও ব্যবসায়ি রুবেল হোসেন ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে বলেন,আমি প্রতিদিনের ন্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় গিয়ে টয়লেট থেকে বের হবার সময় আমার ডান হাতে কিসে যেন কামড় দেয়, সাথে সাথে আমার হাতে জালাপোড়া শুরু করে এবং হাত অবশ হয়ে যায়। সাপে কামড় দিয়েছে ভেবে আমার জানা মতে শোলমারি গ্রামের সনামধন্য কবিরাজ রতনকে ফোনে বিস্তারিত জানায়,

তিনি আমাকে বলেন তোমার ভয় পাবার কোন চিন্তা নেই,তোমার কিছু হবেনা, তুমি আয়াতুল কুরসি সুরা পড়ে ফু দাও ভালো হয়ে যাবে,আমি তাই করি,ইনশা আল্লাহ আমার হাত আগের অবস্থায় ফিরে আসে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অদৃশ্য সাপের কামড়ে ২০জন আহত ও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।অদৃশ্য সাপের কামড়ে আহত ২০ জনকে কবিরাজি চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক রতন কবিরাজের সাথে সরাসরি কথা বলে তিনি জানান,এগুলো হলো জিনের কামড়,

এতে তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনা, রতন কবিরাজের শোলমারি গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে যানা যায় রতন কবিরাজের উস্তাদ আবুল হাশেম ১৯৭২ সাওল থেকে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা করে আসছেন, বিনিময়ে তিনি রোগীদের নিকট থেকে কোন অর্থ গ্রহন করেন না।অদৃশ্য সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ্য করায় অত্র এলাকায় তাদের সুনাম আরো বেড়ে গেছে।তিনি যতদিন বেচে থাকবেন মানুষের সেবা করে যেতে চান।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন