Home » মেহেরপুর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের ১ বছরের জেল, সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা।

মেহেরপুর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের ১ বছরের জেল, সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা।

কর্তৃক xVS2UqarHx07
74 ভিউজ

আমঝুপি অফিস:

 

মেহেরপুর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের ১ বছরের জেল, সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা।

 

 

মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফোরাজ হোসেন মৃদুলকে চেক ডিজঅনার মামলায়১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার দুপুরে মেহেরপুর আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের রিচারক (২য়) কবির হোসেন এ রায় দেন।

 

মামলার বাদী দেবাশীষ বাগচি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দেবাশীষ বাগচির সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব শুরু করেন। কিন্তু শরফোরাজ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পর এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক দিয়ে তাকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেন। ওই চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে মৃদুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়। পাল্টা মৃদুলও দেবাশীষের বিরুদ্ধে চেক চুরির মামলা করেন এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন। প্রশাসনের লোকজন তার বাড়িতে পাঠিয়ে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তারা আত্মগোপন করেন। ৫ আগস্ট দেশে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে তারা ফিরে আসেন।

 

দেবাশীষ বাগচি জানিয়েছেন, আদালতের রায়ে তিনি খুশি এবং আশা করেন আদালতের মাধ্যমে দ্রুত পাওনা টাকা পাবেন।

 

মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. খ.ম. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম এ মতিন।

 

উল্লেখ্য, সরফোরাজ হোসেন মৃদুল ২০১২ সালে মেহেরপুর শহরের মহিলা কলেজমোড় সংলগ্ন ‘ওষুধ বিপনী’ নামে একটি ফার্মেসিতে কর্মচারী ছিলেন। রেশনের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিতে দেখা যেত তাকে। তবে ২০১৪ সালে তার ভাই ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মৃদুলের ভাগ্য বদলে যায়। ২০১৫ সালে তিনি জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পান এবং তারপর থেকে তার জীবনযাত্রা পাল্টে যায়।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন