Home » মেহেরপুর হেরোইন রাখার অপরাধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারা দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কারাগারে

মেহেরপুর হেরোইন রাখার অপরাধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারা দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কারাগারে

কর্তৃক xVS2UqarHx07
236 ভিউজ

আজকের মেহেরপুর ডেস্ক:

হেরোইন রাখার অপরাধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারা দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে নাজমুল হুদা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নাজমুল হুদা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভরাট গ্রামের নাকার হোসেনের ছেলে। গত ১৩ নভেম্বর মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। ঐদিন নাজমুল হুদা পলাতক ছিল।

মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর গাংনী র্যাব-৬ ক্যাম্পের এস আই মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব-৬ এর একটি দল গাংনী উপজেলার মেহেরপুর -কুষ্টিয়া সড়কের ছাতিয়ান নামক স্থানে মোটরসাইকেল থামিয়ে মোটরসাইকেল চালক নাজমুল হুদা এবং তরাইল গ্রামের সুন্নত আলীর ছেলে মনিরুল ইসলামকে আটক করেন। ওই সময় তার মোটরসাইকেল হেলমেট এর মধ্যে থেকে ৩৭ গ্রাম হেরোইন এবং ১৮০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা সহ হেরোইন বিক্রির বেশ কিছু টাকা উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ ক (১)টেবিলের ১ (খ) এবং ৭ (ক)একটি মামলা দায়ের করেন। যার সেশন কেস নং ১১০/১৪। জিআর কেস নং ৭১৮/১৩ পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি নাজমুল হুদা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ ক (১) টেবিলের ১ (খ) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ এবং আইনের ১৯ (১) ধারদর টেবিলের ৭ (ক) ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড ১ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
ঐদিন আসামি নাজমুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এদিকে বুধবার দুপুরের দিকে সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল হুদা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাসের কাছে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন