Home » গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের পাশের দোকানপাট অপসারণ 

গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের পাশের দোকানপাট অপসারণ 

কর্তৃক xVS2UqarHx07
42 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

জনগনের দীর্ঘ প্রত্যাশা ও দাবীর প্রেক্ষিতে অবশেষে আইনী প্রক্রিয়া শেষে উচ্ছেদ করা হলো মেহেরপুরের গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন যাত্রী ছাউনি ও মেসার্স মালেক মিষ্টান্ন এ্যান্ড ফল ভান্ডার। একই সাথে ভাঙ্গা হয়েছে মসজিদের ওযু খানা ও পাবলিক টয়লেট। যাত্রী ছাউনি ও মেসার্স মালেক ফল ভান্ডারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায় মফিজ ফল ভান্ডার নামের অপর একটি দোকান। তবে আইনী প্রক্রিয়া শেষে উক্ত দোকানটিকেও জনস্বার্থ রক্ষার্থে এবং সড়ক প্রস্বস্তকরনে অপসারণ করা হবে বলে জানান উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহা সড়কের গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

 

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়ক নির্মাণ কাজের বিঘ্নিত হচ্ছিল। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি উদ্ধারের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হবে।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার ও নি্র্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো সাজেদুল ইসলাম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌলী মিজানুর রহমান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নি্র্বাহী প্রোকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা

 

আইন শৃংখলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেহেরপুরে দায়িত্বরত একটি টীম ও গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম দায়িত্ব পালন করেন।

 

জানাগেছে, মেহেরপুর কুস্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রস্বস্তকরন কাজ চলমান রয়েছে। গাংনী বাসস্ট্যান্ডে ফোরলেন কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় যাত্রী ছাউনি ও জেলা পরিষদের কয়েকটি দোকান। যার মধ্যে ছিল মেসার্স আব্দুল মালেক ফল ভান্ডার, মফিজ ফল ভান্ডার ও ততসংলগ্ন যাত্রী ছাউনি। নকশা অনুযায়ী বাসস্ট্যান্ডে কাজে গলার কাটা হয়ে দাড়ায় জেলা পরিষদের দোকানঘর ও যাত্রী ছাউনি। গাংনী বিভিন্ন পেশার মানুষ মুল নকশা অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন ও যাত্রী ছাউনি ও মালেক ফল ভান্ডার উচ্ছেদের দাবীতে একাধিকবার আন্দোলন করেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেন গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষ। পরে বিষয়টি গাংনী উপজেলা প্রশাসনের জনপক্ষে ভুমিকা রেখে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেন। গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয় দোকান মালিকদের। একই সাথে নোটিশের একটি কপি টাঙ্গিয়ে অবহিত করা হয় সর্ব সাধারনকেও। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন