Home » দর্শনা চেকপোস্টের সকল কার্যক্রম চালু হল যাত্রীকে ভারতে প্রবেশ

দর্শনা চেকপোস্টের সকল কার্যক্রম চালু হল যাত্রীকে ভারতে প্রবেশ

কর্তৃক xVS2UqarHx07
256 ভিউজ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম মানিক:

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস পর যাতায়াতের অনুমতি পেলো দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে ইমিগ্রেশন শেষে বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্টধারীরা ভারতে প্রবেশ করেন। এর আগে ভারতীয় গেদে চেকপোস্ট অংশে বিএসএফ’র মেডিকেল বুথ না থাকায় দর্শনা চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে থেকে কোন যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারছিল না। পরে বিষয়টি সমাধান করে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে যাত্রী নেয়ার অনুমতি মিললেও স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোন প্রজ্ঞাপন না পাওয়ায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি-৬) পক্ষ থেকে দেশে থেকে কোন যাত্রীকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছিল না। পরে বেলা ২ টার দিকে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন চুয়াডাঙ্গা ৬-বিজিবির সদর দপ্তরে পৌছুলে শুরু হয় যাত্রী পারাপার।

আগরতলা, ত্রিপুরা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দিয়ে জানানো হয়, পরিক্ষামূলকভাবে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে নিয়মিত কর্মঘন্টা ও দিবসে যাত্রী চলাচল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে যাত্রী চলাচলের জন্য (বাংলাদেশি/বিদেশী নাগরিক) সুরক্ষা সেবা বিভাগ/ বাংলাদেশ মিশন সমূহের অনাপত্তি পত্র (এনওসি) প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশে প্রবেশকালে আগত সকল দেশি/ বিদেশি নাগরিক আবশিকভাবে ৭২ ঘন্টা মেয়াদী (আরটি-পিসিআর) ভিত্তিক নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে এবং রিপোর্টের (কিউআর) কোড সংযুক্ত হতে হবে।

বুস্টার/দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্নকারী দেশি/বিদেশি যাত্রীদের টিকা সমন্ন করার পর চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে টিকা কার্ড বা উপযুক্ত প্রমানক এবং (আরটি-পিসিআর) নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন পূর্বক সরাসরি নিজ গন্তব্যে যাত্রা অবস্থান করতে পারবে। তারা হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতামুক্ত থাকবেন, তবে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

টিকা সম্পন্ন না হলে ৭২ ঘন্টা মেয়াদি (আরটি-পিসিআর) ভিত্তিক নেভেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত বিধি অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রবেশে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা মধ্যে যাত্রীদের নিজ খরচে (আরটি-পিসিআর) বা র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট সম্পন্ন করতে হবে। তবে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের অধিনে নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ১৪ মার্চ দর্শনা চেকপোস্টের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চলতি বছরের ১৭ মে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনতে সীমিত পরিসরে দর্শনা চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় শুধু মাত্র ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশীরা ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে এ চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে যাত্রী পারাপারের অনুমতি দিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশন (আগরতলা, ত্রিপুরা)

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চলতি বছরের ১৭ মে থেকে দর্শনা চেকপোষ্টের কার্যক্রম চালু হয়। এসময় ভারতীয় গেদে অংশে বিএসএফ’র কোন মেডিকেল বুথ না থাকায় তারা যাত্রী নিতে অসম্মত জানিয়ে আসছিল। শুধুমাত্র করোনাকালীন সময়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুই দেশ থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩৫ জন বাংলাদেশী ভারতে প্রবেশ করলেও বিএফএফ তা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ভারতীর কলকাতা হাই কমিশনে যোগাযোগ করলে তারা অপেক্ষা করতে বলেছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) পিএসসি পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেকপোস্টের সকল কার্যক্রম চালু হলেও বেলা ২ টার পর স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন (ক্লিলিয়ারেন্স) পাওয়ার সাথে সাথে যাত্রী পারাপারের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন