ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মোঃ রমজান আলী:
আজ ৪ঠা ডিসেম্বর ঝিনাইদহের মহেশপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মহেশপুরকে হানাদার মুক্ত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হুকুম দেন তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। ঐতিহাসিক এ ভাষণের পরই বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ৪ঠা ডিসেম্বর রাতে হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করে মহেশপুরকে শত্রæমুক্ত করে এবং ৫ডিসেম্বর বিজয়রে পতাকা ওড়াই তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে।
মহেশপুর পৌর মুক্তিযোদ্ধা কামন্ডার কাজী আব্দুস সাত্তার জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন ঐ সময় সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্ভয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় তার বয়স ছিল ৩৫/৩৬বছর বিশাল জোয়ান একজন পুরুষ। সবসময় সে এসএমজি চালাতো। আগে থেকেই মুজাহিদ বাহিনীর অভিজ্ঞতা থাকায় ভারতের ট্রেনিং এ তার দক্ষতার পরিচয় ঘটে। মাহাতাব উদ্দিন মহেশপুর পুরাতন সোনালী ব্যাংকের মধ্যে ছোট একটি দোকান দিয়ে এখন চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এর আগে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে তিনি সরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। মহেশপুর ৭/৮টি সম্মুখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। সবকটি যুদ্ধে মাহাতাব উদ্দিন অসীম সাহসিকতার কারনে মুক্তি যোদ্ধারা বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়। ২০ নভেম্বর ১৯৭১ সালে দত্তনগর যুদ্ধে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম সন্তান প্রসবকালীন সময় মৃত্যু বরন করেন। কিন্তু তুমুল যুদ্ধ চলায় সেদিন মাহাতাব উদ্দিন স্ত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে আসতে পারেনি। কারন যেভাবেই হোক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে হবে এটাই ছিল তার মুল লক্ষ্য। তার সেই ইচ্ছা পূরন হয়েছিল কিন্তু স্ত্রীর সাথে শেষ দেখা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুল কবির বলেন দিনটিকে পালন করতে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন মুখি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।