Home » কুষ্টিয়ায় এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কর্তৃক xVS2UqarHx07
145 ভিউজ

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শিতলাইপাড়া চন্ডিপুর সিরাজুলের মেহেগিনি বাগান থেকে ১৬ তারিখ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা সময় গৃহকর্মী মঞ্জিরা খাতুনের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, রিফায়েতপুর ইউনিয়নের শিতলাইপাড়া গ্রামের মিনহাজের স্ত্রী মঞ্জিরা দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও ঠিকাদার ছাদেকুজ্জামান খান সুমনের মাস্টারপাড়ার বাসভবনে কাজ করতেন এবং থাকতেনও সেখানে।

এ বিষয়ে নিহত মঞ্জিরা স্বামী মিনহাজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ১৫ মে রোববার মঞ্জিরা খাতুন মায়ের বাড়ি বেড়াতে যান এবং ঐদিনই বিকালে সুমন খানের বাড়িতে কাজ করতে যান। কিন্তু পরদিন সোমবার সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ মেহগিনি বাগানের একটি ছোট্ট গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল। সে দাবি করে বলেন, আমার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

মঞ্জিরার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে উক্ত এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। আত্মহত্যা বলে পুলিশ দাবি করলেও লাশের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঝুলন্ত লাশ দেখে মনে হয়নি এটা আত্মহত্যা। সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চাইছেন এলাকাবাসী। কারণ তার শরীরে কোন শাড়ি ছিল না ছিল শুধু ব্লাউজ ও পেডিকোট। এলাকাবাসী এটাও বলেন, শাড়ি বাদে অন্য একটি কাপড় দিয়ে গলায় পেঁচানো ছিল তার মরদেহটি।

দৌলতপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কোথায় কাজ করতেন, আমিও অতটা চিনিনা। তবে একটা কাপড় দিয়ে ঝুলন্ত ছিলো। কিন্তু সেটি শাড়ি নয়। সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকাল চারটায় নিহতের পরিচয়, পেশা, বসবাস কিছুই বলতে পারেননি তিনি। তিনি এটাও বলেন নিহতের গায়ে শাড়ি পরা ছিলো। কিন্তু, ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, নিহত মুঞ্জিরার শরীরে কোন শাড়ি ছিল না। দৌলতপুর থানার ডিউটি অফিসার আবু জাফর বলেন, লাশ রশি দিয়ে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মুঞ্জিরার মৃতদেহ।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবিদ হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মেহেগিনি বাগানের ছোট্ট একটা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মুঞ্জিরার লাশ। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণেই সকালেই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে ছাদেকুজ্জামান খান সুমনের মুঠোফোনে রাত ৯ টার সময় একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন