Home » গাংনী উপজেলায় বর্তমানে পর্যায়ের পোস্ট অফিসটি জরাজীর্ণ অবস্থায়

গাংনী উপজেলায় বর্তমানে পর্যায়ের পোস্ট অফিসটি জরাজীর্ণ অবস্থায়

কর্তৃক xVS2UqarHx07
67 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উপজেলা পোস্ট অফিস (ডাকঘর) । বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সংস্কার বা মেরামত না হওয়ায় জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যেই চলছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদের নিচে জীবন হাতে নিয়েই ডাক সেবা দিয়ে চলেছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা । এ যেন মৃত্যুকূপ। যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে ভবনটি।

এছাড়া জানালা দরজা ভাঙ্গাচোরাসহ ঘরের রং বলতে সব যেন ময়লা অপরিচ্ছন্ন। যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে প্রাণহানির মত মর্মান্তিক দূঘর্টনা। সেই আগের মত ডাক হরকরা (রানার) ঝুম ঝুম শব্দে হারিকেন ও বল্লম হাতে দৌঁড়ে এসে স্ব-জনদের ভালােবাসার চিঠি পৌঁছে না দিলেও এখনও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, প্রয়োজনীয় চিঠি আদান প্রদান করে যাচ্ছে। এনিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকতার্দের কাছে একাধিক আবেদন নিবেদন করেও অদ্যাবধি কাজ হয়নি। এ যেন দেখার কেউ নেই।

গাংনী উপজেলা পোস্ট মাষ্টার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ১৯৮২ ইং সালে পোস্ট অফিসের ভবনটি নির্মিত হয়। নির্মাণের ৪০ বছর অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত কোন সংস্কার বা মেরামত না হওয়ায় ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেসতারা খসে খসে পড়ছে। ছাদের মরিচাপড়া রড বের হয়ে গেছে। বিমগুলোতে ফাটল ধরেছে। যখন তখন ভেঙ্গে পড়তে পারে। ঘটতে পারে প্রাণহানির মত দুঃখজনক ঘটনা। এছাড়াও অল্প বৃষ্টি হলেই ছাদ রসে পানিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে এই ভবনে সরকারী কম্প্উিটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সরকারী বীমা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। কম্পিউটারগুলো সঁ্যাত স্যঁাতে জায়গায় রাখার কারণে অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই ডাক বিভাগের সেই গৌরব আর নেই। আধুনিকার ছোঁয়া এবং ডিজিটালাইজড হওয়ার পরে ডাক বিভাগের সেই সুনাম অনেকটাই গতি হারিয়েছে। এই অফিস ম্যানেজমেন্ট বা খাতা কলমসহ আনুসঙ্গিক খরচ বাবদ মাসে মাত্র ৮০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। বর্তমানে সেটিও আর দেয়া হচ্ছে না। ফলে দায়সারা ভাবে বাজারের পড়ে থাকা কাগজ বা পোস্টার কুড়িয়ে সেই কাগজ দিয়ে অফিসের কাজ করা হয়।

এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে পোস্ট অফিসে লোকবল না থাকায় আমাদের অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে ডাক সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। উপজেলা পোস্ট অফিসে ১ জন উপজেলা পোস্ট মাস্টার, ২ জন পোস্ট ম্যান, ২ জন অপারেটর, ১ জন মেইল ক্যারিয়ার, ১ জন নৈশ প্রহরী ও ১ জন ঝাড়–দার মোট ১০ জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৫ জন। যে কারণে দ্রুততার সাথে গ্রাহক সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ঝুঁকিপূর্ণ ছাদের নিচে কাজ করতে ভয় লাগে কি এমন প্রশ্নের জবাবে পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলাম আরও জানান, কিছুদিন আগে আমাদের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার মো. মোহসীন উদ্দিন আমাদের অফিস পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি ভবনের মাঝে বসে থাকা অবস্থায উপর থেকে একটি সিলিং ফ্যান খুলে পড়েছিল। তিনি স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। তারপরেও অদ্যাবধি ভবনটি সংস্কার বা মেরামত হয়নি।

পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলাম জানান, ভবনের যে অবস্থা যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। আমরা মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবি সরেজমিনে পরিদর্শন করে অবিলম্বে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নিয়ে বাধিত করবেন।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন