Home » গাংনীর উপজেলা দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই সহোদর নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের

গাংনীর উপজেলা দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই সহোদর নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের

কর্তৃক xVS2UqarHx07
295 ভিউজ

বামন্দী প্রতিনিধি শাহ আলম হৃদয়:

গাংনী উপজেলার লক্ষীনারায়ণপুর ধলা গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই সহোদর নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ওই গ্রামের এক পক্ষের নেতা আতিয়ার রহমানকে।

নিহতের ভাই বেল্টু মিয়া বাদী হয়ে গাংনী থানায় মঙ্গলবার (৯/১১/২১ইং) রাতে মামলাটি দায়ের করেন। গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, জাহারুল ও শাহাদুল ইসলাম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আতিয়ার রহমান ছাড়াও আরো ৬৬ জনের নাম রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে গাঢাকা দিয়েছে আতিয়ার রহমানসহ তার পক্ষের লোকজন। আতিয়ার রহমান গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক। ধলা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুলের সাথে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ। বৃহস্পতিবার গাংনী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কাথুলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান মেম্বার আজমাইন হোসেন টুটুল ও কৃষক লীগ নেতা আতিয়ার রহমান মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দিতায় প্রভাব পড়ে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ওই গ্রামে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সোমবার সকালে আজমাইন হোসেন টুটুল গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে আতিয়ার রহমান ও তার পক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। টুটুল কে বাঁচাতে গিয়ে উপর্যপরি ধারালো অস্ত্রের কোপের শিকার হন তার আপন মামাতো ভাই জাহারুল ইসলাম ও সাহাদুল ইসলাম। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে টুটুল পক্ষের লোকজন প্রতিরোধ করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা গাংনী, কুষ্টিয়া ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন।

রক্তক্ষয়ী তুমুল সংঘর্ষের পর স্বাভাবিকভাবেই গ্রামে এক অন্য পরিবেশ বিরাজ করছে। আতিয়ার পক্ষের লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে ভোটের মাঠে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

স্থানীয়রা জানান, যে ভোটের জন্য এত কিছু আর সংঘর্ষ সেই ভোট দিতেই পারছে না আতিয়ার পক্ষের লোকজন। দুই সহোদর হত্যাকান্ডের ঘটনায় আতিয়ার ও তার পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইছে।
এদিকে নিহত দুই সহোদরের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতেই নিজ গ্রামে দাফন হয়েছে। একই সাথে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। পরিবার এবং স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।

এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্র করে যেকোনো প্রকার সহিংসতা এড়াতে পুলিশ প্রহরা অবসান হয়েছে বলে জানায় গাংনী থানার একটি সূত্র। ধলা পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম সার্বক্ষণিক গ্রামে দায়িত্ব পালন করছে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করে নতুন করে কোন প্রকার সহিংসতা যাতে না হয় সেদিকে সজাগ রয়েছে পুলিশ।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন