চুয়াডাঙ্গা জাহাঙ্গীর আলম মানিক:
মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার (২২), পিতা-মো: বিল্লাল হোসেন, সাং-সাতগাড়ি হিজরাপাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে মোঃ সুমন আলী(২৪), পিতা-মো: তাইজেল আলী, সাং-উজিরপুর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গার অনুমান ০৫ (পাঁচ) বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১টি তাসফিয়া আক্তার মিম্মা নামে ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে মোঃ সুমন আলী ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবীতে সুমাইয়া আক্তারকে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার করতে থাকে। সুমাইয়ার পিতা-মাতা বিভিন্ন সময়ে নগদ টাকা এবং আসবাবপত্র মেয়ের সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে পাঠায়। তবুও অত্যাচার কমে না শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শতকষ্ট সহ্য করে সুমাইয়া সংসার করছিলেন।
একপর্যায়ের সুমাইয়া তার স্বামী ও তার পরিবারের নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার শিশু কন্যাকে নিয়ে সাতগাড়ি হিজরা পাড়ায় ভাড়া বাসায় উঠে এবং সন্তানকে নিয়ে মানবিক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর মাধ্যমে আজ
০৫. অক্টোবর উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে মানবিক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মো: সুমন আলী সুমাইয়াকে নিয়ে সব বিবাদ ভুলে সংসার করতে সম্মত হয়। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও তাসফিয়া আক্তার মিম্মা পেলো পিতৃস্নেহ।