Home » জাতীয়তাবাদী নেতা মোঃ জিয়াউর রহমান: এক নির্যাতিত ত্যাগী সৈনিকের সংগ্রামী জীবন।

জাতীয়তাবাদী নেতা মোঃ জিয়াউর রহমান: এক নির্যাতিত ত্যাগী সৈনিকের সংগ্রামী জীবন।

কর্তৃক xVS2UqarHx07
26 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

জাতীয়তাবাদী নেতা মোঃ জিয়াউর রহমান: এক নির্যাতিত ত্যাগী সৈনিকের সংগ্রামী জীবন।

 

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জাতীয়তাবাদী নেতা মোঃ জিয়াউর রহমান একজন সংগ্রামী, ত্যাগী ও প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিবিদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে এবং তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা মেনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্য কাজ করে চলেছেন।

 

শিক্ষা ও রাজনৈতিক যাত্রা

 

স্নাতক ডিগ্রিধারী মোঃ জিয়াউর রহমান ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি গাংনী পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, পৌর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তিনি বারবার নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৩ সালের বিস্ফোরক মামলা (নং-৭৮৪), ২০১৪ সালের মামলা (নং-২০০/১৫), এবং ২০২৩ সালের মামলা (জিএর-৫৪/২৩)।

 

সরকারি নির্যাতন ও ব্যক্তিগত ক্ষতি

 

একজন সৎ ও আদর্শবাদী নেতা হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের চাঁদাবাজি, সম্পদ দখলসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন এবং তাঁর বাম হাতে ১১টি সেলাই দিতে হয়। এছাড়া, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর কাছ থেকে নগদ প্রায় ১-১.৫ কোটি টাকা আদায় করা হয়।

 

সামাজিক ও পারিবারিক পরিচিতি

 

ব্যবসায়ী ও শিক্ষিত পরিবারে জন্ম নেওয়া মোঃ জিয়াউর রহমান পেশাগতভাবে গাংনীতে “ময়দা হার্ডওয়ার এন্ড স্যানেটারি” ব্যবসা পরিচালনা করেন। তাঁর স্ত্রী মোছাঃ ময়না খাতুন একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং তাঁদের একমাত্র কন্যা মোছাঃ জায়মা রহমান, যার বয়স ৫ বছর।

 

জাতীয়তাবাদী পরিবারের সদস্য হিসেবে তাঁর পিতা মোঃ আব্দুল মোতালেব তৎকালীন বিএনপি গঠিত গ্রাম সরকারের সদস্য ছিলেন এবং তাঁর ভাই মোঃ হাসান আলী একজন প্রভাষক ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সক্রিয় সদস্য।

 

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি

 

দলীয় আদর্শকে সঠিকভাবে ধারণ করে বিএনপির সুষ্ঠু ও সুসংগঠিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই মোঃ জিয়াউর রহমান কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যদি তাঁকে গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়, তাহলে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলবেন এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিরলস পরিশ্রম করবেন।

 

তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বৈরাচারী দুঃশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য। ইনশা-আল্লাহ, তিনি এই সংগ্রামে সর্বদা সামনের কাতারে থাকবেন।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন