-এম.সোহেল রানা; মেহেরপুর (১০ নভেম্বর-২১)।।
[উৎসর্গ- কবি মোঃ জুবায়েদ হোসেন এঁর ৪৯তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে-]
মোঃ জুবায়েদ হোসেন একজন মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল মানবতাবাদী লেখক।
“নিরলস সাহিত্য-সাধক মোহাম্মদ জুবায়েদ হোসেন পেশায় শিক্ষক ও সাহিত্যিক। নিজের প্রতিষ্ঠিত ‘সাহিত্য সংগঠন উন্মীলন সাহিত্য ও সমাজ কল্যাণ সংগঠণ’ সৃজনশীল সাহিত্য বিকাশে… “মোমেনশাহী দর্পণ” নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, তাঁর সম্পাদনায় বাংলাদেশের সাড়ে চার শত কবি সাহিত্যিকদের কবিতা নিয়ে ‘ঊষার আলো’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একাধিক সাহিত্য পদকে ভূষিত”
ইসলামের শাশ্বত মানবতাবাদী আদর্শ-ঐতিহ্য ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী এ লেখক নিছক ‘সাহিত্যের জন্য সাহিত্য’ রচনা করেননি। তিনি আদর্শ ও ঐতিহ্যের আলোকে এবং উদার মানবতাবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন।
ছোটবেলা কেটেছে শান্ত স্নিগ্ধ উদার আকাশের বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলার চরসিরতা গ্রামে। এখানকার খাল, বিল, নদী, রাতের তারা, হলুদ শর্ষে ক্ষেতে ভোঁরের শিশির ভেজা ঘাসে জড়িয়ে আছে বরেণ্য সাহিত্যিক মোহাম্মদ জুবায়েদ হোসেন এর রঙিন শৈশব। এই সবুজ তাকে শৈশবেই তাকে নিবিড় ভাবে টেনেছিল সাহিত্যের মোহময় ভূবনে। এরপর চোখে সাহিত্যের স্বপ্ন নিয়েই চলে এলেন খুলনায়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে পোর্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশা নিয়ে। সু-দূর এই দক্ষিণবঙ্গে অবস্থান করে একাধিক সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন তিনি। তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য সংগঠন উন্মীলন সাহিত্য ও সমাজ কল্যাণ সংগঠন ছাড়াও সৃজনশীল সাহিত্য বিকাশে “মোমেনশাহী দর্পণ” নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। একজন সাহিত্যিক বেঁচে থাকেন তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে সৃষ্টি শুধু শৈল্পিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ নয় এর ব্যাপ্তি আরো বিশাল যা অনায়াসে চলতে পারে মানবতার আঁচল তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ সাহিত্য ব্যক্তিত্ব জনাব মোহাম্মদ জুবায়েদ হোসেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।
লেখকঃ এম.সোহেল রানা; বার্তা সম্পাদক “আজকের মেহেরপুর” অনলাইন পোর্টাল। সহ-সম্পাদক, মোমেনশাহী দর্পণ।