আব্দুল হামিদ, বার্তা সম্পাদকঃ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামে দুটি পরিবারের মধ্যে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে আহত মাহফুজা খাতুন (৫৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গকতাল শনিবার ১ মার্চ-২০২৫ দিবাগত রাত ৯ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান,
নিহত মাহফুজা খাতুন গাংনী উপজেলা বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী,
গত বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ সন্ধ্যার দিকে মাহফুজা খাতুন ও তার স্বামী আব্দুর রশিদ ও ছেলে সোহেল রানাকে বিয়াই বাড়ির লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছিল।
আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, এদের মধ্যে মাহফুজা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক,দুইদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান,
নিহতের ছেলে রাসেল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন, তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি এখন মামলা করার জন্য গাংনী থানায় রয়েছি,
রাসেল আহমেদ বলেন , আমার বড় ভাই সোহেল রানার সাথে প্রায় আড়াই বছর আগে একই গ্রামের শওকত আলীর মেয়ে পিংকির বিয়ে হয়েছে,বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা, কয়েক দিন আগে আমার ভাই সোহেল রানা ও ভাবি পিংকির মাঝে মনোমালিন্য হয়, আমাদের বাড়ি এসে ঘটনাটি পিংকির চাচী দুলাল হোসেনের স্ত্রী রেবেকা খাতুন শোনেন, পরে তাঁদের পরিবারের মাঝে সত্য মিথ্যা বলে উস্কে দেন, পরে পিংকির পিতার পরিবারের লোকজন গত বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী২০২৫ সন্ধ্যার দিকে আমাদের বাড়ির উপর এসে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা করে,এতে আমার আব্দুর রশিদ মা মাহফুজা খাতুন, ও ভাই সোহেল রানা জখম হন, পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন,তিনি বলেন, এঘটনায় নিহতের ছেলে রাসেল আহমেদ বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন,মামলা রুজ্জু প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।